পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের মিশন
শিল্প প্রবৃদ্ধি ধীরে ধীরে নতুন যুগে রূপান্তরিত হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে সীমান্ত বাণিজ্য এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। পারস্পরিক অর্থ প্রদানের ভারসাম্যের জন্য আমদানি ও রপ্তানির নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করা বিশ্বব্যাপী উচ্চ চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বজায় রাখতে হবে। সোনামসজিদ স্থল বন্দর উন্নয়নের সিদ্ধান্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থপ্রদানের ভারসাম্য বজায় রাখার বিস্তৃত সুযোগ খুলে দিয়েছে।
পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্যে চলমান পেশাগত উন্নয়ন এবং বর্ধনের জন্য একটি সহায়ক এবং অত্যাধুনিক পরিবেশ প্রদান করে। রপ্তানিকারক এবং আমদানিকারকরা আমাদের ব্যবসার অত্যাবশ্যক স্টেকহোল্ডার এবং আমরা সর্বনিম্ন খরচ, সর্বোচ্চ মানের এবং সবচেয়ে কম ডেলিভারি সময়ে তাদের চাহিদা এবং প্রত্যাশা পূরণ করি। আমরা আমাদের প্রকল্পের সাফল্য নিশ্চিত করতে সর্বশেষ সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করি এবং প্রমাণিত বিকাশ এবং প্রকল্প পরিচালনার প্রক্রিয়াগুলি অনুসরণ করি।
পরিশেষে, পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড-কে যে কাজটি অর্পণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি তার গ্রাহকদের সন্তুষ্ট রাখতে সম্ভাব্য সব উপায়ে সমর্থন করার জন্য সর্বাত্মকভাবে এগিয়ে যাবে। আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কে বিশ্বাস করি এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে শুরু থেকেই কাজ করে আসছি। আমরা সবসময় অগ্রগতিতে তাদের অংশীদার হতে আগ্রহী। আমরা এই ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে লক্ষ্য অর্জনে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা নিবেদিত থাকবে। আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি এবং আশা করি যে আমরা আমদানি-রপ্তানি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি স্থায়ী পদচিহ্ন স্থাপন করতে সক্ষম হব।
প্রত্যাশা
আশা করা যায় যে, আমদানীকারক ও রপ্তানিকারকরা আমাদের পরিষেবা নিয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হবেন এবং তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদের ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধি করবেন। এভাবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। পরিশেষে উল্লেখ করা হয় যে, পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড কোম্পানিটি আমদানি-রপ্তানি খাতের উন্নয়ন, মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধি, জাতীয় সম্পদের উন্নত বন্টন এবং দেশের জাতীয় জিডিপিতে অবদান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (চচচ)-এর আওতায় নতুন নতুন সেবাখাত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিক একটি প্রজেক্ট- সোনামসজিদ স্থল বন্দর। এ বন্দরের অপারেটর বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করার জন্য সদা সর্বদা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
কনসেপ্টে সোনামসজিদ স্থল বন্দর:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনগনের তথা ব্যবসায়ীদের নিকট দ্রুত বানিজ্যিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই সরকারের চচচ পলিসি। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সেবা খাতে দীর্ঘ মেয়াদী সুফলতা পাওয়ার লক্ষ্যে সরকারের নানামূখি উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সীমিত সম্পদের দেশে সরকারের হাতে মূলধনের স্বল্পতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে অর্থায়নকারী বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংক সহ অন্যান্য অনুদান প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক্রমে সরকার ও পাবলিক পার্টনারশীপে বেসরকারী বিনিয়োগে দেশের বিভিন্ন সেবামূলক প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোনামসজিদ স্থল বন্দরের বর্তমান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সোনামসজিদ স্থল বন্দরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে:
সোনামসজিদ স্থল বন্দরে বর্তমান বন্দর ব্যবস্থাপনার অধীনে প্রায় ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) জন কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং ১,৭০০ জন শ্রমিক দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মরত রয়েছে। এছাড়াও অত্র বন্দরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২,৫০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।